Logo

আন্তর্জাতিক    >>   ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথের আগেই ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথের আগেই ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথের আগেই ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করবেন। তবে নিজের অভিষেকের আগেই ইসরাইল ও হামাসের মধ্যকার চলমান সংঘাতের অবসান চান তিনি। গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে রিপাবলিকান পার্টির এই নেতা জোর দিচ্ছেন।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সিনেটর এবং ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী লিন্ডসে গ্রাহাম এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান। গ্রাহাম, যিনি সম্প্রতি ইসরাইল সফর করেছেন, বলেছেন, ট্রাম্প গাজার জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

লিন্ডসে গ্রাহাম মার্কিন সংবাদমাধ্যম Axios-কে জানান, “গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্প আগের চেয়ে অনেক বেশি মনোযোগী। তিনি চান, শপথের আগেই এই সংকটের একটি স্থায়ী সমাধান আসুক। হত্যাকাণ্ড বন্ধ হোক এবং সংঘাতের অবসান ঘটুক।”

তিনি আরও বলেন, “আমি ইসরাইলি সরকারকে জানিয়েছি যে ট্রাম্প জিম্মি মুক্তির বিষয়টিকে তার অগ্রাধিকারে রেখেছেন। আমি আশা করি, ট্রাম্প ও বাইডেন প্রশাসন একসঙ্গে কাজ করবে, যাতে এই মানবিক সংকট সমাধান হয়।”

এদিকে, মিশরের কায়রোতে শনিবার হামাসের একটি প্রতিনিধিদল সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিষয়ে মিশরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবে। গাজায় সংঘাত বন্ধের লক্ষ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

ইসরাইল-হামাস সংঘাত শুরু হয় ৭ অক্টোবর, যখন হামাস নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে এক হাজারেরও বেশি ইসরাইলি নাগরিককে হত্যা করে এবং দুই শতাধিক মানুষকে গাজায় আটক করে। বর্তমানে হামাসের হাতে শতাধিক জিম্মি বন্দি রয়েছেন।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় লেবাননে ইসরাইল-হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। এর পর থেকেই ওয়াশিংটন গাজায় সংঘাত বন্ধে সক্রিয়।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই উদ্যোগ বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এটি ট্রাম্প প্রশাসনের আগের মধ্যপ্রাচ্য নীতির ধারাবাহিকতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি তার লক্ষ্য হিসেবে স্থির করেছেন। তার এই প্রচেষ্টা মধ্যপ্রাচ্যে একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।